সাধারণজ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলি
এখানে বাংলাদেশ বিষয়ের উপরে কিছু সংখিপ্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
১. বাংলাশের সীমান্তবর্তী জেলা- ৩২টি।
২. ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা- ৩০টি।
৩. মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা- ৩টি।
৪. ভারত মিয়ানমার উভয় দেশের সীমান্ত সংযোগ রয়েছে- রাঙামাটি জেরার সাথে।
৫. বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা – ১২ নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যার মাইল সমান ১.৮৫৩ কি.মি.)।
৬. ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত সংযোগ নেই – ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের।
৭. ভারতের সাথে বাংলাদেশের মীমান্ত রয়েছে- ৫টি রাজ্যের। যথা- পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।
৮. বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের জেলা- ১৫টি।
৯. জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে- ৮ম।
১০. জনসংখ্যায় এশিয়াায় বাংলাদেশের অবস্থান- ৫ম।
১১. জনসংখ্যায় মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান- চতুর্থ।
১২. বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৭৪ সালে।
১৩. বাংলায় প্রথম ১০ বছর ভিত্তিক আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়- ১৮৭২ সালে।
১৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসিদের প্রধান উৎসব- বৈসাবি।
১৫. পাঙন উপজাতি- মুসলমান।
১৬. বিরিশিরি- ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হং নেত্রকোনা জেলায় । এটি সোমেশ্বরি নদির তীরে অবস্থিত।
১৭. চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত- কর্ণফুলী নদির তীরে।
১৮. পার্বত্য চট্টগ্রামে- ১১টি উপজাতি বাস করে।
১৯. বাংলাদেশে সবচেয়ে শিক্ষিত জাতি- চাকমা।
২০. মণিপুরী নৃত্য- সিলেট অঞ্চলে।
২১. হুদুমা নাচ প্রচলিত- রাজবংশী উপজাতিদের মধ্যে।
২২. বাংলাদেশে বাস করে না- মাওিরি, মুর(মুসলিম উপজাতি), জুলু, নিগ্রো, দ্রাবিড়, নাগা, পিগমী, কুলু, কুর্দি, আফ্রিদি, টোডা, শেরপা প্রভৃতি উপজাতি।
২৩. বণিক দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন- জোয়ান বক্র খাঁ।
২৪. উপজাতিদের নিয়ে সর্বাধিক বই লিখেন- আব্দুর সাত্তার; অরণ্য জনপদে ও অরণ্য সংস্কৃতি।
২৫. সাওতালদের বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়- ১৮৫৫-৫৬ সালে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভগনদিহি গ্রামে সাওতাল বীর সিধু-কানুর নেতৃত্ব।
২৬. শান্তিবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা- মানবেন্দ্র লারমা।
২৭. শান্তিবাহিনীর বর্তমান সভাপতি- জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা।
২৮. দেশের একমাত্র উপজাতি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা- ই্উ কে চিং মারমা। বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত।
২৯. চাকমা উপজাতি বাংলাদেশের- সবচেয়ে বড় উপজাতি।
৩০.চাকমারা নৃ-তাত্ত্বিকভাবে- মঙ্গোলিয়।
৩১. চাকমাদের আদিপিতা- বিজয়গিরি।
৩২. চাকমা সমাজ- পিতৃতান্ত্রিক।
৩৩. আদামের প্রধানের নাম- কারবারী
৩৪. চাকমা জনগোষ্ঠী গ্রামকে- মৌজা বলে।
৩৫. চাকমাদের মৌজার প্রধানকে- হেডম্যান বলা হয়।
৩৬. চাকমাদের মৌজার চেয়ে- বৃহৎ সংগঠন গলো চাকমা সার্কেল।
৩৭. চাকমা সার্কেলের প্রধান হলেন- চাকমা রাজা।
৩৮. চাকমা জনগোষ্ঠী জীবিকা নির্বাহ করে- জুম চাষ করে।
৩৯. চাকমাদের ঐতিহ্যবাহি খাদ্য হলো- বাশেঁর রান্না
৪০. সবচেয়ে মাহাত্ম্যপুর্ন উৎসব হল- বুদ্ধ পূর্নিমা ও ফাল্গুনি পূর্নিমা।
৪১. চাকমারা তিন দিন ব্যাপী- বিজুউৎসব পালন করে।
৪২. বিজুউৎৎসবের পর্ব- ৩টি। যথা- ফুরবিঝু, মুলবিঝূ এবং নুওবসর বা গোজ্যাপোজ্যা দিন।
৪৩. কঠিন চীবর দান হলো- চাকমা দের উৎসব।
৪৪. চাকমাদের নিজস্ব ভাষা- চাকমাম বা চাঙমা নামে পরিচিত।
৪৫. চাকমারা প্রধানত- বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী।
৪৬. বৌদ্ধ মন্দির গুলো কে বলা হয়- ক্যাং।
৪৭. বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি গোষ্ঠী- সাওতাল।
৪৮. সাঁওতালরা নিজেদের- হোড় বলে। হোড় অর্থ মানুষ।
৪৯. নৃগোষ্ঠী গত ভাবে সাঁওতালরা- আদি অস্ট্রেলিয়।
৫০. সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি কী- গ্রাম পঞ্চায়েত।
৫১. সাঁওতালদের গ্রাম প্রধান হলেন- মাঝি বা মানিযহি।
৫২. সাঁওতাল দের পরিচয়- পিতৃসূত্রীয়।
৫৩. সাঁওতালরা চাল থেকে- হাড়িয়া নামক একটি পানীয় তৈরি কর।
৫৪. সাঁওতালদের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী উৎসব- সোহরায়।
৫৫. সাঁওতালরা- সাঁওতালি. বাংলা ও সাদরি ভাষায় কথা বলে।
৫৬. গারেোরা নিজেদেরকে- পাহাড়ের মানুষ বা মান্দি বা আচিক-মান্দি মনে হয়।
৫৭. গারোরা নৃগোষ্ঠীগতভাবে- মঙ্গোলয়েড। ূ
৫৮. গারো সম্প্রদায় মেন বলে- মাটি কে।
৫৯. গারো দের ঐতিহ্যবাহি খাদ্যের নাম কী- খাড়ি।
৬০. গারো দের সবচেয়ে বড় উৎসব- ওয়ানগালা।
৬১. গারো দের বা মান্দি দের আদি ধর্মের নাম- সাংসারেক।
৬২. গারোদের প্রধান দেবতার নাম- তাতারা রাবুগা।
৬৩. গারোদের নিজেদের ভাষা কে বলা হয়- আচিক কুসিক অর্থাৎ পাহাড়ি ভাষা।
৬৪. গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক- দকমান্দা ও দকাশারি।
৬৫. মান্দি পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক- গান্দো।
৬৬. বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নাম- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
৬৭. বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক- উভয় পাশে ধানের শীষ বেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা। তার শির্ষে পাট গাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা এবং উভয় পাশে দুইটি করে তারকা (সংবিধানে৪(৩)
৬৮. বাংলাদেশের মোট আয়তন – ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গ মাইল ।
৬৯. বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানা – উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম, পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম এবং মিযানমার, পশ্চিমে ভারতের পশ্চমবঙ্গ ও দক্ষিণে বঙ্গপসাগর ।
৭০. বাংরাদেশের মোটসিীমান্ত র্দৈঘ – ৫,১৩৮ কিলেমিটার ( ভূমি মন্ত্রণালয় রির্পোট) এবং ৪,৭১৯ কিলোমিটার ( মাধ্যমিক বই)
৭১. বাংলাদেশের মোট স্থলসীমা – ৪,৪২৭ কিলোমিটার
৭২. বাংলাদেশের সমুদ্র উপকুলের দৈর্ঘ্ – ৭১১ কিলোমিটার ( মাধ্যমিক ভূগোল বই অনুসারে)
৭৩. বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা – ১৬ কোটি ৮২ লাখ ।
৭৪. বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব – ১১৪০ জন ( বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুযায়ী০
৭৫.বাংলাদেশের পুরুষ ও নারীর অনুপাত – ১০০. ২:১০০
৭৬. বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার – ১.৩৭%
৭৭. বাংলাদেশে বিভাগ সংখ্যা – ৮ টি
৭৮. বাংলাদেশের জনগনের মাথাপিছু বার্ষিক আয় – ২৫৬১ মার্কিন ডলার ।
৭৯. বাংলাদেশে বিরাজমান – ক্রান্তিয় মৌমুমি জলবায়ু
৮০. আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান – ৯৪ তম
৮১. কর্কটক্রান্তি রেখার অপর নাম কী – ট্রপিক অব ক্যান্সার বা ২৩.৫ উত্তর অক্ষরেখা ।
৮২. গ্রিনিচ থেকে বাংলাদেশের অবস্থান – ৯০ পূর্ব দ্রাঘিমা।
৮৩. মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের মোট সমিান্ত দৈর্ঘ্য – ২৭১ কিলেমিটার
৮৪. বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত সংযোগ রয়েছে – ভারত ও মিয়ানমার দুটি দেশের
৮৫. নৃ-তাত্ত্বিক বিচারে খাসিয়ারা – মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
৮৬. খাসিয়াদের পরিবার – মাতৃসূত্রীয়।
৮৭. গ্রামকে খাসিয়া ভাষায় বলা হয় – পুঞ্জি।
৮৮. খাসিয়ারা পছন্দ করে – পান ও কাঁচা সুপারি।
৮৯. খাসিয়াদের ভাষা হলো – খাসিয়া ভাষা।
৯০. নৃ-তাত্ত্বিক বিচারে মারমা উপজাতিরা – মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
৯১. মারমা সমাজ – পিতৃতান্ত্রিক।
৯২. মারামাদের সমাজে প্রধান – রাজা।
৯৩. মারমারা – বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
৯৪. মারমারা গ্রামকে বলে – রোয়া।
৯৫. মারমাদের গ্রাম প্রধানকে বলে – রোয়াজ।
৯৬. মারমাদের সবচেয়ে বড় জলোৎসব – সাংগ্রাই।
৯৭. মারমাদের ধর্মগ্রন্থের নাম – থাদুত্তুয়াং।
৯৮. মারমাদের ভাষা – মগী।
৯৯. মারমাদের জলোৎসব অনুষ্ঠানের সময় – এপ্রিল মাস।
সাধারণজ্ঞান সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে TimetoEdu এর সাথেই থাকুন।