You are currently viewing সাধারণজ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলি পর্ব ০২
বাংলাদেশ বিষয়াবলী

সাধারণজ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলি পর্ব ০২

সাধারণজ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলি

এখানে বাংলাদেশ বিষয়ের উপরে কিছু সংখিপ্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

 

বাংলাদেশের ভুমিরূপ ও ভৌগলিক পরিক্রমা

১। মাটি- ভূ-ত্বকের সবচেয়ে উপরের স্তরই মাটি।

২। মাটির প্রধান উপাদান- ৪টি। যথা: খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, পানি ও বায়ু।

৩। কৃষিকাজে সবচেয়ে উপযোগী মাটি- দো-আঁশ মাটি।

৫। বাংলাদেশে পীট মাটি দেখতে পাওয়া যায়- ফরিদপুরে।

৬। পঁচা মাটিতে উৎপন্ন হয়- মিথেন গ্যাস।

৭। বাংলাদেশ মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউট- ঢাকায় অবস্থিত।

৮। ‘হোয়াইট ক্লে’- ময়মনসিংহের বিজয়পুরে প্রাপ্ত এক ধরনের উষ্ণ মাটি ( এর রং সাদা)।

৯। বাংলাদেশের বৃহত্তম পাহাড়- ময়মনসিংহে অবস্থিত গারো পাহাড়।

১০। দেশের স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ- তাজিংডং (অপরনাম ‘বিজয়/মদক মুয়াল’)।

১১। তাজিংডং অবস্থিত- বান্দরবন জেলায় (উচ্চতা ১২৩১ মিটার)।

১২। ইউরোনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে- মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পাহাড়ে।

১৩। বাংলাদেশের কৃহত্তম দ্বীপ- ভোলা জেলা ( দ্বীপের রানী)। ভোলার আয়তন ৩,৪০৩ বর্গ কিলোমিটার।

১৪। বাংলাদেশের বাতিঘরের জন্র বিখ্যাত- কুতুবদিয়া দ্বীপ।

১৫। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের স্থান ও দ্বীপ- ছেঁড়াদ্বীপ। ছেড়াদ্বীপের আয়তন ৩ বর্গ কিলোমিটার।

১৬। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দ্বীপ ছিল- দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ। বর্তমানে ভারতের জলসীমায় অবস্থিত দ্বীপটি ২০১০ সালে বিলুপ্ত হয়। দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অপর নাম ছিল নিউমুর যা ভারত কতৃক প্রদত্ত। বাংলাদেশ এই দ্বীপের নাম দিয়েছিল পূর্বাশা।

১৭। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান দ্বীপ- ভোলা, হাতিয়া, সেন্ট মার্টিন, সন্দীপ, কুতুবদিয়া, মহেশখালি, সোনাদিয়া ইত্যাদি।

১৮। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের /স্থায়ী জনবসতি সম্পন্ন/একমাত্র কোরাল/প্রবাল দ্বীপ- সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

১৯। সেন্টমার্টিন দ্বীপ অবস্থিত- কক্সবাজারের টেকনাফ সুমুদ্রে উপকুল হতে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগওে অবস্থিত। সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন ৮ বর্গ কিলোমিটার।

২০। বাংলাদেশে সক্রিয় ব-দ্বীপ আছে- নোয়াখালীর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে।

২১। নিঝুম দ্বীপ অবস্থিত- বঙ্গোপসাগরের বুকে হাতিয়া হতে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার মেঘনা নদীর মোহনায়। এর আয়তন ৯১ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৫০ সালে নিঝুম দ্বীপটি জেগে ওঠে। ্এই দ্বীপের পূর্ব নাম বাউলার চর।

২২। সোনাদিয়া দ্বীপ অবস্থিত- কক্সবাজারের সন্নিকটে বঙ্গোপসাগরে। এর আয়তন ৯ বর্গ কিলোমিটার।

২৩। ছেঁড়াদ্বীপ অবস্থিত- সেন্টমার্টিন থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।

২৪। বাংলাদেশের যে দ্বীপে মন্দির আছে- মহেশখালী দ্বীপে। মন্দিরটি আদিনাথের মন্দির হিসেবে পরিচিত।

২৫। ‘এলিফ্যান্ট পয়েন্ট ’ অবস্থিত- কক্সবাজার জেলায়।

২৬। ‘হিরণ পয়েন্ট’ ও টাইগার পয়েন্ট’ অবস্থিত- সুন্দরবণের দক্ষিণে।

২৭। বাংলাদশের একমাত্র দ্বীপ জেলা- ভোলা।

২৮। বাংলাদেশে চরের সংখ্যা বেশি- যমুনা নদীতে।

২৯। ‘দুবলার চর’ বিখ্যাত- মৎস্য আহরণ, শুটকি উৎপাদন ও উপকুলীয় সবুজ বেষ্টনীর জন্য।

৩০। ‘নির্মল চর’- রাজশাহী জেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ছোট এক টুকরো জমি। জমিটির দৈর্ঘ্য ৩,০০০ ফুট এবং প্রস্থ ২০০ ফুট।

৩১। বাংলাদশের সর্ববৃহৎ  বিল- চলন বিল।

৩২। চলন বিল অবস্থিত- পাবনা, রাজশাহী, নাটোরও সিরাজগঞ্জ জেলায়।

৩৩। বাংলাদেশের পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয়- ডাকাতিয়া বিলকে।

৩৪। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের প্রধান উৎস- চলন বিল।

৩৫। তামাবিল অবস্থিত- সিলেট জেলায়।

৩৬। তামবিল বিখ্যাত- ভারত থেকে কয়লা আমদানি করার জন্য।

৩৭। চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে- আত্রাই নদী।

৩৮। আড়িয়াল বিল অবস্থিত- মুন্সিগঞ্জ জেলায় পদ্মা ও ধলেশ^রী নদীর মাঝখানে।

৩৯। বাংলাদেশে হাওড় সংখ্যা বেশি পরিলিৈক্ষত হয়- সিলেট অঞ্চলে।

৪০। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওড়- মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত হাকালুকি হাওড়। দেশের অন্যতম বড় মিঠা পানির জলাভ‚মি।

৪১। টাঙ্গুয়ার হাওড় অবস্থিত- সুনামগঞ্জ। টাঙ্গুয়ার হাওড়ের অপর নাম রামসার হাওড়।

৪২। ‘টাঙ্গুয়ার হাওড়কে’ ইউনেষ্কো ওয়াল্ড হেরিটেজ এর অংম হিসেবে ঘোষণা করে- ২০০০ সালে (১০৩১ তম)।

৪৩। বাংলাদেশের বৃহত্তম বাওড়- পোড়াপাড়া বাওড় ( মহেশপুর, ঝিনাইদহ)।

৪৪। লেক এর জেলা হিসেবে পরিচিত- রাঙামাটি।

৪৫। ফয়েজ লেক অবস্থিত- চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে।

৪৬। ফয়েজ লেক একটি- কৃত্তিম হ্রদ।

৪৭। কাপ্তাই হ্রদ অবস্থিত- রাঙামাটি জেলায়।

৪৮। জাফলং লেক অবস্থিত-সিলেটে।

৪৯। ক্রিসেন্ট লেক অবস্থিত- ঢাকায়। জাতীয় সংসদ ভবণের পাশে।

৫০। মাধবপুর হ্রদ অবস্থিত- মৌলভীবাজারে।

৫১। প্রান্তিক লেক অবস্থিত- বান্দরবন।

৫২। বগা লেক অবস্থিত- বান্দরবনে।

৫৩। বাংলাদেশে একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত- কাপ্তাই হ্রদে।

৫৪। বিশে^র বৃহত্তম সুমুদ্র সৈকত- কক্সবাজার সুমুদ্র সৈকত, বাংলাদেশ।

৫৫। কক্সবাজার সুমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য-১২০ কিলোমিটার।

৫৬। ‘সাগর কন্যা’ বলা হয়- কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকতকে।

৫৭। কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকত অবস্থিত- পটুয়াখালী।

৫৮। কুয়াকাটা সুমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য- ১৮ কিলোমিটার।

৫৯। বাংলাদেশের যে সুমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়- কুয়াকাটা।

৬০। ‘পর্যটন হলিডে হোমস্ অবস্থিত- কুয়াকাটায়।

৬১। বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী – কক্সবাজার।

৬২। বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে- ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত।

৬৩। বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট- মৌসুমি বায়ু।

৬৪। বাংলাদেশে বর্তমানে ভ‚-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে- ৪টি।

৬৫। ভ‚-কম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দগুলো অবস্থিত- চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর ও সিলেটে।

৬৬। বাংলাদেশের কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র-১২টি।

৬৭। বাংলাদেশে বর্তমানে রাডার স্টেশন রয়েছে-৫টি (৩টি ডপলার রাডার স্টেশন)।

৬৮। বাংলাদেশের রাডার স্টেশনগুলো অবস্থিত- ঢাকা, রংপুর, কক্সবাজার, খেপুপাড়া (পটুয়াখালী) ও মৌলভীবাজার।

৬৯। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস- ৩৫টি।

৭০। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্র-২টি।

৭১। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্রের নাম-  ঢাকা এবং চট্টগ্রাম।

৭২। বাংলাদেশের উষ্ণতম জেলা- রাজশাহী।

৭৩। বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থান- নাটোরের লালপুরে।

৭৪। বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস- এপ্রিল।

৭৫। বাংলাদেশের শীতলতম জেলা- সিলেট।

৭৬। বাংলাদেশের শীতলতম স্থান- শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।

৭৭। বাংলাদেশের শীতলতম মাস- জানুয়ারী

৭৮। বাংলাদেশের আবহাওয়া কেন্দ্র- ৪টি। যথা: ঢাকা, পতেঙ্গা, কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া।

৭৯।  মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র (; এটি বাংলাদেশের একমাত্র ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যেগের পূর্বাভাস কেন্দ্র।

৮০।  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৮০ সালে। এটি ঢাকার আগাঁরগাওয়ে অবস্থিত।

৮১। ঢাকার প্রতিপাদ স্থান- চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।

৮২। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়- সিলেটের লালখানে (৬৩৭.৫ সে.মি)

৮৩। বাংলাদেশের সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়- নাটোরের লালপুরে (১১৭.৫ সে.মি)

৮৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল- রাজশঅহী ৪৫.১ সে.। ১৯৭২ সালের ১৮ মে।

৮৫। বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ঋতু বলা হয়- বর্ষা ঋতুকে।

৮৬। বাংলাদেশের ঋতরাজ  বলা হয়- বসন্ত ঋতুকে।

 

সাধারণজ্ঞান সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে TimetoEdu এর সাথেই থাকুন।

Leave a Reply