কফি বনাম চা: কোনটি আপনার জন্য ভালো?
কফি আর চা—দুটোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য পানীয়। সকালে সতেজ হতে চাইলে কফি, বিকেলে হালকা সতেজতা বা রিল্যাক্সেশন চাইলে চা। তবে অনেকেই ভাবেন, কফি চায়ের চেয়ে কি বেশি সমস্যা করতে পারে? চলুন দেখি কফি এবং চায়ের পার্থক্য ও প্রভাব।
কফি এবং চায়ের মূল পার্থক্য
বিষয় | কফি | চা |
---|---|---|
ক্যাফেইন পরিমাণ | বেশি (প্রায় 80–120 mg প্রতি কাপ) | কম (প্রায় 30–60 mg প্রতি কাপ) |
এনার্জি প্রভাব | দ্রুত এনার্জি বুস্ট, সতর্কতা বাড়ায় | হালকা এনার্জি বৃদ্ধি, বেশি সতর্কতা দেয় না |
স্নায়ুর প্রভাব | উত্তেজক, অতিরিক্ত হলে ঘুম ও মানসিক চাপ বাড়াতে পারে | থিয়ানিন থাকার কারণে শান্তিদায়ক প্রভাব, মনোযোগ বাড়ায় |
গ্যাস্ট্রিক/অ্যাসিডিটি | বেশি খেলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে | সাধারণত হালকা, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কম হয় |
ঘুমের প্রভাব | রাতে বা বেশি খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে | কম প্রভাব ফেলে, অনেকের জন্য হালকা রিল্যাক্সিং |
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট | আছে, কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা দেয় | বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হৃদয় ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী |
আসক্তি/নেশা | বেশি পরিমাণে আসক্তি হতে পারে | কম আসক্তি সৃষ্টি করে |
কফি খাওয়ার সুবিধা ও সমস্যা
কফি খেলে দ্রুত সতেজতা আসে এবং ফোকাস বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এটি মেটাবলিজম বাড়িয়ে কিছুটা ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত খেলে ঘুমের সমস্যা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অ্যাসিডিটি এবং আসক্তির ঝুঁকি থাকে।
চায়ের সুবিধা ও সমস্যা
চা তুলনামূলকভাবে কম ক্যাফেইনযুক্ত। এতে থাকা থিয়ানিন স্নায়ুকে শান্ত রাখে, মনোযোগ বাড়ায় এবং হালকা সতেজতা দেয়। চা সাধারণত হজমের জন্য ভালো, গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কম হয় এবং রাতে খাওয়া নিরাপদ।
পরিমিত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ
উভয়ই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
কফি: দিনে ১–২ কাপ (সকাল বা দুপুরে)
চা: দিনে ২–৪ কাপ পর্যন্ত নিরাপদ
সারসংক্ষেপ
সকালে সতেজতা চাইলে কফি, বিকেলে হালকা সতেজতা চাইলে চা।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, ঘুমের সমস্যা বা হার্টের ঝুঁকি থাকলে কফি সীমিত করা উচিত।
উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়।
সুতরাং, কফি চা দুইই ঠিক আছে, মূল বিষয় হলো আপনার শরীরের প্রয়োজনে এবং পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখা।