বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্পদ
১. কৃষি কাজের জন্য উপযুক্ত মাটি – দোঁ আশ মাটি।
২. শীত কালীন শস্যকে বলা হয় – রবি শস্য।
৩. গ্রীষ্মকালীন শস্যকে বলা হয় – খরিপ শস্য।
৪. স্বর্ণা সার – এক প্রকার জৈব সার। বৈজ্ঞানিক নাম ফাইটা হরমোন ইনডিউ সার। আবিষ্কারক ড. সৈয়দ আব্দুল খালেক। ১৯৮৭ সালে আবিষ্কৃত হয়।
৫. বাংলার শস্যভান্ডার নামে পরিচিত – বরিশাল জেলা।
৬. বাংলাদেশের আণবিক কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠান প্রতিস্ঠিত হয় – ১৯৭২ সালে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত।
৭. বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃষি উদ্যানটি অবস্থিত – কাশিমপুর, গাজীপুর।
৮. বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃষি খামার অবস্থিত – ঝিনাইদহের মহেশপুরের দত্তননগর; ১৯৬২ সারে কার্য্ ক্রম শুরু হয়।
৯. বাংলাদেশের ফসল তোলার ঋতু – ৩টি। যথা- ভাদোই, হৈমন্তিক ও রবি।
১০. প্রতক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল – ৮০ ভাগ লোক।
১১. ‘জুম বলতে বোঝায় – এক ধরনের চাষাবাদ; পাহাড়ি এলাকায় বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় চাষ করা হয়। এটি স্থানান্তর চাষাবাদ নামেও পরিচিত।
১২. সিলেটে পাহাড়ি অঞ্চলে আনারস চাষের ফলে মাটির অবস্থা কেমন হয় – উর্বরকা বৃদ্ধি পায়।
১৩. বাংলাদেশে পানি সম্পদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি – কৃষি খাতে।
১৪. বাংলাদেশে চাষের অযোগ্য জমির পরিমান – ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার একর।
১৫. দেশে মাথা পিছু আবাদি জমির পরিমান – ০.৮ হেক্টর বা ০.২৮ একর।
১৬. বাংলাদেশে প্রধান অর্থকারী ফসল – পাট। ৎ
১৭. সার্ক কৃষি তথ্যকেন্দ্র – ফার্মগেট, ঢাকা( প্রতিষ্ঠিত ১৯৮৯ সালে)।
১৮. বাংলাদেশে এ পর্যন্ত কুষিশুমারি হয় – ৫ বার।
১৯. বাংলাদেশে প্রথম কৃষিশুমারি হয় – ১৯৭৭ সালে ( ফল প্রকাশ ১৮ নভেম্বর ১৯৮০)।
২০. বাংলাদেশে সর্বশেষ কৃষিশুমারি হয় – ২০১৯ সালে।
২১.বাংলাদেশে প্রধান খাদ্যশস্য – ধান।
২২. বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ধান জন্মে – ময়মনসিংহে।
২৩. ধান উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান – চতুর্থ। উৎপাদনে প্রথম চীন এবং চার রপ্তানিতে ভারত প্রথম।
২৪. বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় – ১ অক্টোবর ১৯৭০ সালে।
২৫. বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের নাম – BARI; প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালে।
২৬. BADC প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৬১ সালে ঢাকায়।
২৭. BADC-র কাজ – কৃষি উন্নয়ন। এটি গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত ।
২৮. বাংলাদেশে ধান প্রধানত – ৩ শ্রেণির। যথা- আমন, আউস, বোরো।
২৯. আমন ধান রোপন করা হয় – জুলাই-আগস্ট মাসে।
৩০. আলোক-৬২০১ কী – উচ্চফলনশীল এক ধানের জাত।
৩১. আলোক-৬২০১ আমদানি করা হয়েছে – ভারত থেকে ( ব্র্যাক আমদানি করেছে)।
৩২. সোনার বাংলা -১ – উচ্চফলনশীল জাতের ধান।
৩৩. ‘সোনালি আঁশ’ বলা হয় – পাট কে।
৩৪. পাট উৎপাদনে বিশ্বে বাংলিাদেশের অবস্থান – দ্বিতীয়।
৩৫. পাট রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশ – প্রথম।
৩৬. পাট উৎপাদনে বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা – ফরিদপুর।
৩৭. পাটের জীন রহস্য উৎঘাটন করেন – ড. মাকসুদুল আলম। তিনি পাটের ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবন রহস্যও উৎঘাটর করেছেন।
৩৮. জুটন কী এবং এর আবিষ্কারক – এক প্রকার বস্ত্র ( যাতে ৭০ ভাগ পাট ও ৩০ ভাগ তুলার সংমিশ্রন থাকে)। এর আবিষ্কারক বিজ্ঞানী ছিদ্দিকুল্লাহ।
৩৯. বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথম চা চাষ শুরু হয় – ১৮৫৭ সালে। ( সিলেটের মালনছিড়ায়)।
৪০. বাংলাদেশের যে জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে – মৌলোভীবাজারে-৯১টি (দ্বিতীয় হবিগঞ্জে)।
৪১. বাংলাদেশে মোট চা বাগান – ১৬৭টি ( সর্বশেষ নীল ফামারী জেলায়)।
৪২. বাংলাদেশের অর্গানিক চা উৎপাদন শুরু হয় – পঞ্চগড়ে(২০০০ সালে)।
৪৩. বাংলাদেশের সর্বপ্রথম চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮৪০ সালে; চট্টগ্রাম ক্লাব এলাকায়।
৪৪. বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৭৭ সালে, চট্টগ্রামে।
৪৫. বাংলাদেশের চা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় – পাকিস্তানে (২য় আফগানিস্তানে)।
৪৬. তামাক উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা – কুষ্টিয়া।
৪৭. আলূ উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা বগুড়া।
৪৮. গম উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা – ঠাকুরগাঁও।
৪৯. তুলা উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা – ঝিনাইদহ।
৫০. রাবার বাগানের জন্য বিখ্যাত স্থান – কক্সবাজারের রামু।
৫১. বাংলাদেশের রাবার চাষ শুরু হয় – ১৯৬১ সালে।
৫২. রেশম উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা – চাঁপাইনবানগজ্ঞ।
৫৩. রেশম বোর্ড ও রেশম গবেষনা কেন্দ্র গঠিত হয় – ১৯৭৭ সালে।
৫৪. বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ – ২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার।
৫৫. বাংলাদেশে যে বিভাগে সবচেয়ে বেশি বনভূমি রয়েছে – চট্টগ্রাম বিভাগ (মোট বনভূমির প্রায় ৪৩%)।
৫৬. বিভাগ অনুসারে সবচেয়ে কম বনভুমি রয়েছে – রংপুর বিভাগে।
৫৭. বাংলাদেশে বন গবেষনা কেন্দ্র অবস্থিত – চট্টগ্রামে।
৫৮. বাংলাদেশে একক জেলাভিত্তিক সর্বাপেক্ষা বেশি বনভূমি অবস্থিত – বাগের হাট জেলায়। আয়তন ২,৭০৫.৯৫ বর্গ কিলোমিটার।
৫৯. উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ‘বণাঞ্চল’ তৈরি হয়েছে – ১০টি জেলায়।
৬০. ‘র্সূযকন্যা’ বলা হয় – তুলা গাছকে।
৬১. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজন – ২৫% বনভূমি।
৬২. অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশর বৃহত্তম বনভূমি – পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি। এর আয়তন ১৪,১৫০ বর্গ কিলোমিটার।
৬৩. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরিমাণ বনভূমি আছে – ৭টি জেলায়। যথা- বাগের হাট, রাঙামাটি, সাতক্ষীরা, খুলনা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায়।
৬৪. মধুপুরের গড় অবস্থিত – টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর। এই উদ্যানের দক্ষিণাংশ ভাওয়াল গড় নামে পরিচিত এবং উত্তরাংশে মধুপুর গড় নামে পরিচিত। এর আয়তন ৪,২৪৪ বর্গ কিলোমিটার।
৬৫. মধুপুর বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ – শাল।
৬৬. শালবনের অন্য নাম কী – পর্ণমোচী বন।
৬৭. পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যে গাছটি ক্ষতিকারক – ইউক্লিপটাস।
৬৮. বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু বৃক্ষের নাম – বৈলাম। উচ্চতা প্রায় ২৪০ ফুট বা ৭৩.১৫ মিটার। বান্দরবানের গাহীন অরণ্যে এই বৃক্ষ পাওয়া যায়।
৬৯. ফরেস্ট একডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় – চট্টগ্রামে, ১৯৬৪ সালে।
৭০. দেশের একমাত্র সোয়াম্প (জলভূমি) ফরেস্ট – রাতালগুল ফরেস্ট ( গোয়াইনঘাট সিলেট)।
৭১. সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য টাইডাল/জোয়ারধৌত বন – কক্সবাজারের সংরক্ষিত চকোরিয়া বনাঞ্চল।
৭২. পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন – সুন্দরবন।
৭৩. সুন্দরবনের অপর নাম – গরান বনভূমি/ বাদাবন।
৭৪. বাংলাদেশের জাতীয় এবং একক বৃহত্তম বনভূমি – সুন্দরবন।
৭৫. সুন্দরবনের মোট আয়তন – ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
৭৬. সুন্দরবন বাংলাদেশের পরিক্রম করেছে – ৫টি জেলাকে যথা- খুলনা, বাগের হাট, সাতক্ষিরা, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
৭৭. UNESKO সুন্দরবনকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ অংশ হিসেবে ঘোষনা করে – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে( ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে)।
৭৮. প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনের অবস্থান – ১৪ তম।
৭৯. সুন্দরবন যে দুটি দেশে বিস্তৃত – বাংলাদেশ ও ভারত।
৮০. সুন্দরবন বাংলাদেশে পড়েছে – ৬২ শতাংশ; বাকি ৩৮ শতাংশ ভঅরতে পড়েছে।
৮১. সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ – সুন্দরী; এ গাছ ৪০-৬০ ফুট উচু হয়।
৮২. সুন্দরবনের প্রধান বনজ সম্পদ – সুন্দরী, গেওয়া, কেওড়াঁ, গরান, ধুন্দল প্রভৃতি কাঠ এবং গোল পাতা ও মধু।
৮৩. সুন্দরবনের ভেতরে প্রবাহিত হয়েছে – দক্ষিন বলেশ্বর নদী ও পশ্চিমে রায়মঙ্গল নদী।
৮৪. সুন্দরবনের বাঘ গণনায় ব্যবহৃত পদ্ধতি – পাগমার্ক পদ্ধতি এছাড়াও রয়েছে ক্যামেরা পদ্ধতি।
৮৫. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ – প্রাকৃতিক গ্যাস।
৮৬. বাংলাদেশের সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র – জকিগঞ্জ, সিলেট (২৮তম)।চীনা
৮৭. বাংলাদেশে যে গ্যাস ক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয় – তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র হতে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র। তিতাস গ্যাসক্ষেত্র টি ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত হয়।
৮৮. ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয় – ব্রাহ্মনবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র হতে।
৮৯. বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয় – বিদ্যুৎ উৎপাদনে (৪০.৭৮%)
৯০. বাংলাদেশের সমুদ্র উপকুলে গ্যাসক্ষেত্র ছিল – ২টি। যথা- সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া গ্যাসক্ষেত্র।
৯১. হরিপুর তেলক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় – ১৯৮৬ সালে। তেল উত্তোলন শুরু হয় ১৯৮৭ সালে।
৯২. বাংলাদেশে একমাত্র তেল শোধনাগার – ইস্টার্ন রিফাইন লিমিটেড (পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম)।
৯৩. চীনামাটি মজুদ রয়েছে – নেত্রকোনার বিজয়পুর, শেরপুরের ভুরুঙ্গা, চট্টগ্রামের হাটওয়া, কাঞ্চাপুরা ও এলাহাবাদ এবং দিনাজপুরের মধ্যপাড়া।
৯৪. ইউরিয়া সারের কাচা মাল – মিথেন গ্যাস।
৯৫. বাংলাদেশের পারমানবিক খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় – কক্সবাজার সমুদ্র উপকুলের ইনানী নামক স্থানে।
৯৬. সম্প্রতি দেশে নতুন কয়লা ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায় – নওগাঁ জেলায় ( দেশের গভীরতম কয়লাক্ষেত্র)
৯৭. বাংলদেশে আবিষ্কৃত মোট কয়লাখনি – ৬টি। যথা- বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ি, দিঘিনালা, খালাসপীর, জামালগঞ্জ ও পাঁচবিবি।
৯৮. দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া প্রস্তুতকারী সার কারকানা – যমুনা সার কারখানা।
৯৯. দেশের প্রথম সার কারখানা – ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা, সিলেট।
সাধারণজ্ঞান সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে TimetoEdu এর সাথেই থাকুন।